তানিয়ার জয়লাভ (১ম পর্ব)
বউ তুমি ব্যাংকে একা যেও না।যা দিনকাল পড়েছে হররোজ ছিনতাই হচ্ছে তুমি বরং জয়কে সাথে নিয়ে যাও
-মা আমি একা যাচ্ছি কোথায়?রাফিকে সাথে নিয়ে যাচ্ছি।
-রাফি কে নিয়ে যাচ্ছ মানে?এতটুকুন দুধের বাচ্চাকে সাথে নিয়ে গিয়ে তুমি এতগুলা টাকা তুলে আনতে যাবে কোন সাহসে পথে কোন অঘটন ঘটলে কি হবে ভেবেছ?আজ বিকেলে ঠিকাদার আসবে তার পাওনা টাকা নিতে
-মা রাফি বয়স আট বছর হতে চলল তাকে আপনি এখনো দুধের বাচ্চা ভাবেন।আপনার নাতি বড় হয়ে গেছে এখন সব বুঝে
-কি যে বল না বউমা।তুমি রেডি হও আমিই জয়কে ফোন করে বলছি
জয় হুডটা তুলে দিতে জয়ের শরীরের সাথে নিজের শরীরটা প্রায় লেপ্টে গেল।তানিয়া নিজের ভেতর একটা শিরশিরানি অনুভব করলো যত যাইহোক পুরুষ তো।জয় কলেজে পড়ে,নাকের নিচে কালো গোফের রেখা একহারা গড়নের ছেলে দেখতে আহামরি না সাদাসিধা,গায়ের রংও ময়লার দিকে,চাচাতো দেবর ঠাট্টাতামাসা করে কিন্তু তাই বলে তানিয়া পাত্তা দেয়না খুব একটা।
যদিও বেশ কিছুদিন ধরে জয় নানান ছুতোয় ঠাট্টা ইয়ার্কি করছে সেটা ভাবীর সাথে দেবর করতেই পারে দোষের কিছুনা,উঠতি বয়সে ছেলেরা এক আধটু এমন করতেই পারে।কিন্তু আজ রিক্সায় বসে তানিয়া টের পেল জয় খুব কায়দা করে বারবার তার বাম দুধে হাত লাগানোর চেস্টা করছে।
এটা সে আরও কয়েকদিন করেছে তানিয়া ভেবেছিল অনিচ্ছাকৃত ঘটে গেছে কিন্তু আজকের ঘটনাতে প্রমাণ হয় জয় একটা উদ্দেশ্য নিয়েই এসব করছে।প্রথমে সুড়সুড়ি লাগছিল তাই সে পাত্তা দেয়নি ভেবেছে হয়ত ভুলে হাত লেগে গেছে।
তাতে জয়ের সাহস আরো বেড়ে গেল সে রিক্সা চলতে থাকার সাথে সাথে বারবার তার হাত ছোঁয়াতে লাগল ডাঁসা মাইয়ে,যদিও ব্রা পড়ে থাকাতে পুরোটা স্বাদ মিটছিলনা কিন্তু মাঝেমধ্যে রিক্সা যখন কোন গর্তে পড়ে ঝাঁকি খাচ্ছে তখন তার হাতটা তানিয়ার বগলের নীচ দিয়ে বেশ ঢুকে যাচ্ছিল আর সেই পুর্ন সুযোগটার ফায়দাই নিচ্ছিল পুরোদমে।
জয় চ্যাংড়া সদ্য যুবক নারীদেহের সম্পদের প্রতি তার চুম্বকীয় আকর্ষণ থাকবে সেটাই স্বাভাবিক,ইন্টারনেটের কল্যানে পেঁকে গেছে আজকালকার ছেলে মেয়েরা।ভাবীর রুপ যৌবনের প্রতি তার যে আকর্ষণ জন্মেছে বেশ কিছুদিন থেকে সেটা সে বেশ উপলব্ধি করছিল।
আজ এমন মহাসুযোগে জীবনের প্রথম কোন নারী স্তনে হাত বুলিয়ে তার বাড়ার টেম্পারেচার বাড়তে বাড়তে সেখান থেকে লাভা উদগিরণ হয়ে হয়ে জাঙ্গিয়াটা ভিজে যাচ্ছিল।তানিয়া প্রথমে ব্যপারটা মনে করেছিল নিতান্ত দুর্ঘটনা কিন্তু যখন দেখলো জয় ইচ্ছে করেই করছে তখন বেশ বিস্ময়ে নির্বাক হয়ে গেল কি করবে সে বুঝে উঠতে পারছিলনা।
জয় তার বয়সে তারচেয়ে কমসে কম আট দশ বছরের ছোট হবে,এই বয়সেই একটা ছেলের এমন দুঃসাহস দেখে তানিয়ার মাথা কাজ করছিল না।বকা দিবে কিনা ভাবতে ভাবতেই ব্যাংকের সামনে এসে রিক্সা থেমে যেতে তানিয়া টাকা তুলতে চলে গেল বাবুকে নিয়ে জয়ও তার পিছু নিল।
বাসার সামনে রিক্সা থামতেই জয় তানিয়ার সাথে কোন কথা না বলেই চলে গেল।তানিয়া রাফিকে নিয়ে বাসায় ঢুকে গেল কিন্তু তার মনে খচখচ করছিল জয়কে এভাবে বকা দেয়ার জন্য।সে কিছুতেই ভেবে পাচ্ছিলনা সেদিনের ছোট্ট সেই জয় তার সাথে পুরুষালী আচরন করছে।
এই বাড়ীতে সে বিয়ে হয়ে যখন এসেছিল প্রায় নয় বছর আগে তখন জয় ছিল নয় দশ বছরের কিশোর,আজ সে দেখতে দেখতে বড় হয়ে যুবক বনে গেছে।তানিয়ার হাজবেন্ড ভাগ্যান্নেষনে ইউরোপ প্রবাসী পাঁচ বছর হতে চললো এখনো কাগজপত্র ঠিক করতে পারেনি তাই দেশেও আসতে পারছে না।
আট বছরের ছেলে রাফি আর শাশুড়ি নিয়েই সংসার।রাজুর দুই বোন একজন বড় তার বিয়ে হয়েছে জামাই সৌদি থাকে আর ছোটটারও বিয়ে হয়ে গেল গতবছর সে এখন স্বামীর সাথে লন্ডনে আছে।রাজু দেখতে সুদর্শন লম্বা চওড়া দেহ, স্বামী অথবা মানুষ হিসেবে অত্যন্ত ভাল, কোন কিছুর অভাব রাখেনি, তানিয়া যখন যা চেয়েছে সব পেয়েছে রাজুর কাছ থেকে।
শুধু শুন্যতা একটাই রাজু পাশে নেই।রাজুর সাথে যৌনজীবন খুবই সুখের ছিল বিয়ের পর চার বছরের মত স্বামীসঙ্গ মিলেছিল রাজু তাকে কানায় কানায় পুর্ণ করে দিয়েছে তাই কোনদিন অন্য ভাবনা মাথায়ই আসেনি।মাঝে মাঝে কোন কোন রাতে ঘুম আসেনা গুদের ভেতরে লক্ষ লক্ষ পোকারা যখন জেগে কামবাই উঠে তখন রাজুর মোটা লিঙ্গের অভাব খুব বেশি হাহাকার করে দেহের পরতে পরতে।তানিয়া তখন গুদে আঙ্গুল পুরে জল খসানোর খেলায় মত্ত হয়।
আবার কোন কোন ভোররাতে রাজু ফোন দিয়ে যখন ফোনসেক্স করে তখনও আঙ্গলি করে করে গুদ লাল হয়ে যায় তবু যেন গুদের খাই মেটেনা।পুরুষদন্ড ছাড়া কি নারীর যৌবনজ্বালা নিবারণ হয় কখনো?তানিয়ার রাতগুলো তাই কামপ্রদীপের শিখার মত জ্বলতে থাকে যা দিনের আলোয় কারো বুঝার সাধ্য নেই।জয়ের হাতের স্পর্শে কেন জানি কোথায় না পাওয়ার করুণ বিউগল বেজে চললো সারাক্ষণ তানিয়া নিজের ভেতর ছটফট করতে লাগলো।
সারাটা দিন রাফি আর শাশুড়িকে নিয়ে ব্যস্ততায় কেটে গেল কিন্তু রাতে বিছানায় শুয়ে বারবার কেন জানি জয়কে মনে পড়ছিল।কেন?নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করলো সে।জয় একটা চ্যাংড়া ছেলে তারমধ্যে আকর্ষিত হবার মত এমন কিছুই নেই এখনো ঠিকমতন গোঁফদাড়িও উঠেনি তার প্রতি কেন এই দুর্বলতা?জয় সহজলভ্য তাই কি?তানিয়ার ভেতরে একটা নিষিদ্ধ কামনা জেগে উঠলো যেটা অপ্রাপ্তি থেকে সবারই মনের জানালায় উকি মারে।
তানিয়া মনের সাথে যুদ্ধ লড়ছে যে নিষিদ্ধের স্বপ্নিল হাতছানি সে দেখতে পাচ্ছে তাতে সাড়া দেবে কিনা।জয় কি চাইছে সেটা তো পরিস্কার,নিজের চেয়ে বয়সে এতো ছোট একটা ছেলের সাথে ফ্লার্ট করতে মন সায় দিচ্ছেনা।আবার খুব লোভও জাগছে একাধারে এমন সুবর্ণ সুযোগ কেউ ঘুর্ণাক্ষরেও টের পাবেনা একটু ফান করা হলো।
তানিয়া আঙ্গুলে গুদের দফারফা করে জয়কে কল্পনা করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে গেল নিজেও টের পেলোনা